মাষকলাই ডালের কিছু উপকারিতা:
শুক্রাণুবর্ধক :মাষকলাইয়ের ডাল শুক্রাণুবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এই ডাল ‘প্রাকৃতিক উদ্দীপক’ হিসেবেও কাজ পারে। পানিতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ঘি দিয়ে ভেজে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখে :হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে মাষকলাইয়ের ডাল উপকারী। এর পটাশিয়াম রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরে কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে এ ডাল উপকারী। এতে ম্যাগনেশিয়াম থাকায় রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।
পেশি গঠন :পেশির কোষের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে মাষকলাই ডাল। শরীরের বৃদ্ধিতে এই ডালে থাকা প্রোটিন খুবই দরকারি।
বলবর্ধক :মাষকলাইয়ের ডালে আছে প্রচুর আয়রন। ফলে শরীরে বল বৃদ্ধি পায়, শরীর থাকে সক্রিয়।
হজমশক্তি বৃদ্ধি :প্রচুর আঁশ আছে বলে হজম ভালো হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই উপকারী।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ :ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখতে পারে মাষকলাইয়ের ডাল।
ব্যথানাশক :আয়ুর্বেদশাস্ত্রে মাষকলাইয়ের ডালের দারুণ ব্যথানাশক গুণের কথা বলা হয়। অস্থিসন্ধির ব্যথা সারাতে এ ডাল উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি :আয়ুর্বেদশাস্ত্রের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণাতেও মাষকলাই ডালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি দেখা গেছে।
স্নায়ুরোগ মুক্তি :স্নায়ু দুর্বলতা, স্মৃতি দুর্বলতা, সিজোফ্রেনিয়ার, হিস্টিরিয়ার মতো সমস্যা দূর করতে পারে মাষকলাই।
খুশকি দূর :মাষকলাইয়ের ডাল মাথায় মাখলে চুল নরম হয়, খুশকি দূর হয়।
ত্বকের সুরক্ষা :দারুণ স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায় মাষকলাই। ত্বক থেকে ময়লা, মৃত কোষ সরিয়ে ত্বকের সতেজতা ও ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় মাষকলাই। রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রেও এই ডাল উপকারী। এতে আছে প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক ক্ষমতা। তাই মুখের ব্রণ দূর করতে পারে এটি। মুখের দাগ দূর করতেও মাষকলাইয়ের ডালের ব্যবহার দেখা যায়।