বুটের ডাল আমাদের দেশের অতিপরিচিত একটি ডাল। শুধুমাত্র রোজাই নয়, আজকাল আমরা সব সময় বুট খাই। বুটে অনেক পুষ্টি রয়েছে। এটা প্রোটিন গ্রুপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এবং সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন হিসেবে পরিচিত। বুটে শরীরের বেশ প্রোটিনের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে থাকে। স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে বুটের বেশ সুনাম। এটা মুখরোচকও বটে। শক্তি দেয়। পেটেও থাকে বেশিক্ষণ। সাধারণত দুই প্রকারের বুটে পাওয়া যায়: দেশী বুট ও কাবুলী বুট । দেশী বুট আকারে ছোট, একটু কালচে রংয়ের এবং অপেক্ষাকৃত শক্ত। কাবুলী বুট একটু বড় আকারের, উজ্জ্বলতর রং এবং দেশী বুটের চেয়ে নরম। দেশী বুট এই উপমহাদেশে পাওয়া যায়। কাবুলী বুট জন্মায় আফগানিস্তান, দক্ষিণ ইউরোপ- এসব স্থানে।
বুট অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। বুটে আমিষের পরিমাণ মাংস বা মাছের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান। তাই খাদ্য তালিকায় বুট থাকলে মাছ মাংস পরিমানে কম থাকলেও চলে। আমাদের দেশের মত উন্নয়নশীল দেশে বুটকে মাছ বা মাংসের বিকল্প হিসাবেও ভাবা যেতে পারে। বুটের ডাল, তরকারিতে বুট, সেদ্ধ বুট ভাজি, বুটের বেসন- নানান উপায়ে বুট খাওয়া যায়।